বর্তমান বিশ্বে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার বাড়ছে, আর সেই সাথে বাড়ছে দক্ষ পেশাদারদের চাহিদা। আপনি যদি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে “ট্রেড ইংলিশ” বা “বাণিজ্য ইংরেজি” -এর উপর একটি প্রফেশনাল সার্টিফিকেট আপনার জন্য দারুণ সুযোগ নিয়ে আসতে পারে। এই সার্টিফিকেটটি আপনাকে শুধু ভাষাগত দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে না, বরং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক লেনদেনে আত্মবিশ্বাস যোগাবে এবং চাকরির বাজারে আপনার মূল্য অনেকখানি বাড়িয়ে দেবে। আমি নিজে দেখেছি, এই ধরণের একটি সার্টিফিকেট থাকার কারণে অনেকেই খুব সহজে ভালো বেতনের চাকরি পেয়েছেন।আসুন, এই বিষয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা পেতে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। নিচে আমরা এই সার্টিফিকেটের গুরুত্ব এবং কর্মজীবনের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করবো।নিশ্চিতভাবে এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে চোখ রাখুন!
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ: ট্রেড ইংলিশের ভূমিকাবর্তমান যুগে গ্লোবালাইজেশনের দৌলতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন দেশ একে অপরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, যার ফলে বাড়ছে অর্থনৈতিক উন্নতি। এই পরিস্থিতিতে, যারা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য ট্রেড ইংলিশের গুরুত্ব অপরিহার্য। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ভালো ইংরেজি জানা থাকলে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেকে প্রমাণ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
১. ট্রেড ইংলিশ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মূলত বিভিন্ন দেশের মধ্যে ব্যবসা-সংক্রান্ত কাজকর্ম। এখানে যোগাযোগ, আলোচনা, চুক্তি এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক লেনদেন সম্পন্ন করতে হয়। যেহেতু এই বাণিজ্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে হয়, তাই একটি সাধারণ ভাষা ব্যবহার করা প্রয়োজন, যা সবাই বুঝতে পারে। ইংরেজি হলো সেই ভাষা, যা বিশ্বজুড়ে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।১.
আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যম:
ট্রেড ইংলিশ হলো বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। যেকোনো আন্তর্জাতিক মিটিং, কনফারেন্স বা সেমিনারে ইংরেজি ব্যবহার করা হয়।২.
চুক্তি এবং আইনি নথিপত্র:
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সমস্ত চুক্তি, বিল, চালান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আইনি নথিপত্র ইংরেজিতে তৈরি করা হয়।
২. ট্রেড ইংলিশ শেখার সুবিধা
ট্রেড ইংলিশ শেখার অনেক সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো:১. ভালো চাকরি পাওয়ার সুযোগ:
বর্তমানে অনেক কোম্পানি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগে লোক নিয়োগ করে। ট্রেড ইংলিশে দক্ষ হলে সেইসব কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।২.
বেতন বৃদ্ধি:
সাধারণত, যারা ট্রেড ইংলিশে পারদর্শী, তাদের বেতন অন্যান্যদের তুলনায় বেশি হয়। কারণ, তারা কোম্পানির জন্য আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করে। আমি নিজে দেখেছি, আমার পরিচিত অনেকেই শুধু ভালো ইংরেজি জানার কারণে তাদের কর্মজীবনে দ্রুত উন্নতি করেছেন।
সুবিধা | বিবরণ |
---|---|
যোগাযোগ | বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সহজ ও কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। |
চুক্তি | আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চুক্তি এবং অন্যান্য নথিপত্র তৈরি ও বুঝতে পারা যায়। |
ক্যারিয়ার | আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভালো চাকরি পাওয়ার সুযোগ বাড়ে এবং বেতন বৃদ্ধি হয়। |
বৈদেশিক বাণিজ্যে ক্যারিয়ার: আপনার জন্য সুযোগবৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। এই সেক্টরে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাজের ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করা হলো:
১. সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট
সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট হলো একটি কোম্পানির পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে গ্রাহকের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সমস্ত প্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা। এই প্রক্রিয়ায় পণ্যের সরবরাহ, গুদামজাতকরণ, পরিবহন এবং বিতরণ অন্তর্ভুক্ত। সাপ্লাই চেইন ম্যানেজারদের কাজ হলো এই সমস্ত প্রক্রিয়াকে আরও efficient এবং cost-effective করা।১.
দক্ষতার সাথে কাজ করা:
সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। কারণ, এখানে অনেক জটিল বিষয় থাকে যা সমাধান করতে হয়।২.
বিশ্লেষণ ক্ষমতা:
এই ক্ষেত্রে ভালো করতে হলে ডেটা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। ডেটা বিশ্লেষণ করে আপনি বুঝতে পারবেন কোথায় সমস্যা হচ্ছে এবং কিভাবে তা সমাধান করা যায়।
২. আন্তর্জাতিক বিপণন (International Marketing)
আন্তর্জাতিক বিপণন হলো একটি কোম্পানির পণ্য বা সেবা অন্য দেশে বিক্রি করার প্রক্রিয়া। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং বাজারের চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে। একজন আন্তর্জাতিক বিপণন বিশেষজ্ঞ হিসেবে, আপনাকে বিভিন্ন দেশে আপনার কোম্পানির ব্র্যান্ড তৈরি করতে এবং বিক্রি বাড়াতে হবে।১.
বাজারের চাহিদা বোঝা:
বিভিন্ন দেশের বাজারের চাহিদা ভিন্ন হয়। তাই, আপনাকে প্রতিটি দেশের বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আপনার বিপণন কৌশল তৈরি করতে হবে।২.
স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান:
স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে আপনি বিপণনে সফল হতে পারবেন না। কারণ, সংস্কৃতি মানুষের পছন্দ এবং অপছন্দকে প্রভাবিত করে।
৩. কাস্টমস এবং কমপ্লায়েন্স
কাস্টমস এবং কমপ্লায়েন্স বিভাগে কাজ করার অর্থ হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়মকানুন এবং আইন সম্পর্কে জ্ঞান রাখা। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে আমদানি ও রপ্তানি সংক্রান্ত সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। কাস্টমস অফিসাররা নিশ্চিত করেন যে কোনো অবৈধ পণ্য দেশে প্রবেশ করতে না পারে এবং সমস্ত বাণিজ্যিক লেনদেন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।১.
আইন সম্পর্কে জ্ঞান:
আপনাকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন এবং নিয়মকানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।২. ঝুঁকি মোকাবেলা:
এই ক্ষেত্রে কাজ করার সময় আপনাকে বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হতে পারে। তাই, ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।ট্রেড ইংলিশে দক্ষতা অর্জনের উপায়ট্রেড ইংলিশ শেখা কঠিন কিছু নয়। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি সহজেই এই দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। নিচে কয়েকটি কার্যকরী উপায় আলোচনা করা হলো:
১. অনলাইন কোর্স
বর্তমানে অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেখানে ট্রেড ইংলিশের উপর বিভিন্ন কোর্স করানো হয়। এই কোর্সগুলোতে আপনি বেসিক থেকে শুরু করে অ্যাডভান্সড লেভেল পর্যন্ত শিখতে পারবেন। Coursera, Udemy এবং edX-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি ভালো মানের কোর্স খুঁজে নিতে পারেন।১.
নিজের সময় অনুযায়ী শেখা:
অনলাইন কোর্সের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি নিজের সময় অনুযায়ী শিখতে পারবেন।২. অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক:
এই কোর্সগুলোতে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা ক্লাস নিয়ে থাকেন, যা আপনাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
২. ইংরেজি ভাষা শিক্ষার প্রতিষ্ঠান
আপনার শহরের কোনো ভালো ইংরেজি ভাষা শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে আপনি ট্রেড ইংলিশের কোর্স করতে পারেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণত অভিজ্ঞ শিক্ষকরা থাকেন, যারা আপনাকে সঠিকভাবে ইংরেজি শিখতে সাহায্য করবেন।১.
সরাসরি ক্লাস:
সরাসরি ক্লাসে অংশ নিলে আপনি অন্যদের সাথে মতবিনিময় করার সুযোগ পাবেন এবং শিক্ষকের কাছ থেকে সরাসরি সাহায্য নিতে পারবেন।২. নিয়মিত পরীক্ষা:
নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে পারবেন এবং দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করতে পারবেন।
৩. বই এবং অন্যান্য শিক্ষণীয় উপকরণ
বাজারে ট্রেড ইংলিশের উপর অনেক ভালো বই পাওয়া যায়। এছাড়া, আপনি বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স যেমন – ব্লগ, আর্টিকেল এবং ভিডিও দেখতে পারেন। এই উপকরণগুলো আপনাকে ট্রেড ইংলিশের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।১.
নিয়মিত পড়া:
নিয়মিত বই এবং আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি নতুন শব্দ এবং বাক্য গঠন শিখতে পারবেন।২. নোট তৈরি করা:
পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখুন। এতে পরবর্তীতে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।
৪. প্র্যাকটিস এবং যোগাযোগ
শুধুমাত্র পড়লেই ট্রেড ইংলিশে দক্ষ হওয়া যায় না। এর জন্য নিয়মিত প্র্যাকটিস করা এবং অন্যদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলা জরুরি। আপনি আপনার বন্ধু, সহকর্মী বা পরিবারের সদস্যদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস করতে পারেন।১.
কথোপকথন:
নিয়মিত ইংরেজিতে কথোপকথন করলে আপনার জড়তা দূর হবে এবং আপনি আরও আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলতে পারবেন।২. লেখালেখি:
নিয়মিত ইংরেজি লেখার অভ্যাস করুন। আপনি ইমেইল, ব্লগ বা অন্য কোনো মাধ্যমে লিখতে পারেন।ট্রেড ইংলিশ সার্টিফিকেশন: কেন প্রয়োজন?
ট্রেড ইংলিশের উপর একটি প্রফেশনাল সার্টিফিকেট আপনার কর্মজীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সার্টিফিকেটটি প্রমাণ করে যে আপনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ইংরেজি ভাষায় দক্ষ। নিচে এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো:
১. চাকরির বাজারে এগিয়ে থাকা
বর্তমানে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। একটি প্রফেশনাল সার্টিফিকেট আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে এবং আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেবে।১.
ভালো ইম্প্রেশন:
সার্টিফিকেট থাকলে ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনার একটি ভালো ইম্প্রেশন তৈরি হবে।২. আত্মবিশ্বাস:
সার্টিফিকেট আপনাকে নিজের দক্ষতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
২. দক্ষতা প্রমাণ
সার্টিফিকেট হলো আপনার দক্ষতার প্রমাণ। এটি দেখায় যে আপনি একটি নির্দিষ্ট মানের ইংরেজি জানেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য প্রস্তুত।১. নিয়োগকর্তার আস্থা:
নিয়োগকর্তারা আপনার দক্ষতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।২.
পেশাদারিত্ব:
এটি আপনার পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়।
৩. বেতন বৃদ্ধি
অনেক কোম্পানি তাদের কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সুযোগ দেয়। একটি ট্রেড ইংলিশ সার্টিফিকেট থাকলে আপনার বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বাড়ে।১. ভালো সুযোগ:
কোম্পানিগুলো দক্ষ কর্মীদের মূল্যায়ন করে এবং তাদের বেতন বৃদ্ধি করে।২.
ক্যারিয়ারের উন্নতি:
এটি আপনার ক্যারিয়ারের উন্নতিতে সাহায্য করে।আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সফল হওয়ার টিপসআন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সফল হতে হলে আপনাকে কিছু বিশেষ টিপস অনুসরণ করতে হবে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস আলোচনা করা হলো:
১. সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান
বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখা খুবই জরুরি। প্রতিটি দেশের মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপন পদ্ধতি ভিন্ন হয়। এই সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে আপনি তাদের সাথে ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারবেন।১.
স্থানীয় রীতিনীতি:
স্থানীয় রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে জানুন।২. ভাষার ব্যবহার:
তাদের ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করুন।
২. শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করা
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেটওয়ার্কিংয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ রাখলে আপনি নতুন সুযোগ পেতে পারেন।১. সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশ নেয়া:
সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশ নিলে আপনি অনেকের সাথে পরিচিত হতে পারবেন।২.
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার:
LinkedIn-এর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন।
৩. ধৈর্য এবং অধ্যবসায়
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। এখানে দ্রুত সফলতা পাওয়া যায় না। তাই, আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে এবং অধ্যবসায়ের সাথে লেগে থাকতে হবে।১.
হাল ছেড়ে না দেয়া:
কষ্ট হলেও হাল ছেড়ে দেবেন না।২. নিয়মিত চেষ্টা করা:
নিয়মিত চেষ্টা করলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন।পরিশেষে, ট্রেড ইংলিশ সার্টিফিকেট কেবল একটি কাগজ নয়, এটি আপনার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পথে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এই দক্ষতা অর্জন করে আপনি কর্মজীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারেন এবং বিশ্ব বাজারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সাফল্যের পথ খুলে দিতে ট্রেড ইংলিশের গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক প্রশিক্ষণ, অধ্যবসায় এবং কিছু কৌশল অবলম্বন করে আপনিও এই ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন। এই ব্লগ পোস্টে আলোচিত বিষয়গুলো আপনাকে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সাহায্য করবে এবং আপনার কর্মজীবনের পথকে আরও সুগম করবে। আপনার যাত্রা শুভ হোক!
লেখাটি শেষ করার আগে
আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনাকে ট্রেড ইংলিশ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ক্যারিয়ার গড়ার বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছে। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে নির্দ্বিধায় কমেন্ট সেকশনে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আপনার সাফল্যের পথে আমরা সবসময় আপনার পাশে আছি!
আরও জানতে এবং নতুন নতুন সুযোগের সন্ধান পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ!
শুভ কামনা!
দরকারী কিছু তথ্য
1. ট্রেড ইংলিশ শেখার জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো যেমন Coursera, Udemy, edX ব্যবহার করতে পারেন।
2. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে (যেমন WTO, UNCTAD) মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়।
3. LinkedIn-এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন।
4. নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা (যেমন The Economist, Financial Times) পড়ার অভ্যাস করুন।
5. বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও রীতিনীতি সম্পর্কে জানতে ভ্রমণ করুন অথবা ডকুমেন্টারি দেখুন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সারসংক্ষেপ
ট্রেড ইংলিশ হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূল ভিত্তি, যা আপনাকে যোগাযোগ, চুক্তি এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক লেনদেনে সাহায্য করে।
বৈদেশিক বাণিজ্যে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, আন্তর্জাতিক বিপণন এবং কাস্টমস কমপ্লায়েন্সে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে।
অনলাইন কোর্স, ইংরেজি ভাষা শিক্ষার প্রতিষ্ঠান এবং বইয়ের মাধ্যমে ট্রেড ইংলিশে দক্ষতা অর্জন করা যায়।
ট্রেড ইংলিশ সার্টিফিকেশন চাকরির বাজারে আপনার মূল্য বৃদ্ধি করে এবং বেতন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
সাফল্যের জন্য বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখা, শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করা এবং ধৈর্য ধরে কাজ করা জরুরি।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖
প্র: ট্রেড ইংলিশ সার্টিফিকেট কেন প্রয়োজন?
উ: দেখুন, এখনকার দিনে ব্যবসা-বাণিজ্য সব আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে গেছে। তাই অন্য দেশের মানুষের সাথে কথা বলতে, তাদের ব্যবসার নিয়মকানুন বুঝতে আর নিজের মতামত ঠিকভাবে বোঝাতে ভালো ইংরেজি জানা খুব দরকার। ট্রেড ইংলিশ সার্টিফিকেট থাকলে বেসিক ইংরেজির সাথে ব্যবসার টার্মগুলোও শেখা যায়, যা আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। আমি নিজে দেখেছি, যারা এই সার্টিফিকেট করেছে, তারা মিটিংগুলোতে সহজে কথা বলতে পারে আর ইমেইলগুলোও গুছিয়ে লিখতে পারে।
প্র: এই সার্টিফিকেট কিভাবে আমার কর্মজীবনে সাহায্য করতে পারে?
উ: এই সার্টিফিকেট আপনার সিভি-কে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে। অনেক কোম্পানি এখন চায় তাদের কর্মীদের আন্তর্জাতিক ব্যবসার ব্যাপারে ভালো ধারণা থাকুক। ট্রেড ইংলিশ জানা থাকলে আপনি বিদেশি ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন, তাদের চাহিদা বুঝতে পারবেন এবং কোম্পানির জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারবেন। আমার এক বন্ধু এই সার্টিফিকেট করার পর একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরি পেয়েছে।
প্র: ট্রেড ইংলিশ শেখার জন্য ভালো কিছু রিসোর্স আছে কি?
উ: হ্যাঁ, এখন অনলাইনে অনেক ভালো রিসোর্স পাওয়া যায়। British Council এর কিছু অনলাইন কোর্স আছে যেগুলো ট্রেড ইংলিশের জন্য খুব উপযোগী। এছাড়া, বিভিন্ন এডুকেশনাল প্ল্যাটফর্মেও এই ধরনের কোর্স পাওয়া যায়। আপনি যদি চান, কিছু লোকাল ট্রেনিং সেন্টার থেকেও সরাসরি ক্লাস করতে পারেন। আমি মনে করি, নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী একটা কোর্স বেছে নিলেই আপনার ট্রেড ইংলিশ শেখা শুরু হয়ে যাবে।
📚 তথ্যসূত্র
Wikipedia Encyclopedia